ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন সবসময়ই প্রশংসিত হন তার গোল করার দক্ষতার জন্য।
যেমন ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হলো লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে এবং সেই ম্যাচেই প্রথম গোলটি দিতে তিনি সময় নিয়েছিলেন মাত্র ৭৯ সেকেন্ড।
সেই গোলটি দিতে তাকে ফুটবল স্পর্শ করতে হয়েছে মাত্র তিনবার ।
প্রিমিয়ার লীগের দু বারের শীর্ষ গোলদাতা কেইন এককভাবে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক।
শেষ ষোলোতে কলাম্বিয়াকে হারানো পেনাল্টি গোলের মাধ্যমে তার গোলের সংখ্যা ছটি।
তার কাছেই আছেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু এবং এরপরেই আছেন ফরাসী তারকা কিলিয়েন এমবাপ্পেসহ কারও কয়েকজন।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে গ্যারি লিনেকারও ছটি গোল করেছিলেন তবে এবার কেইনের সামনে আরও অন্তত দুটি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে।
এর মধ্যে একটি নিশ্চিত আর সেটি হলো সেমিফাইনাল, যাতে তার প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।
আর সেমিফাইনালে জিতলে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে ফ্রান্স বা বেলজিয়ামের।
এসব কারণে হ্যারি কেইনের গোল সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এখনো।
হ্যারি কেইনের গোলগুলো ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর কারা?
তার ছটি গোলের মধ্যে তিনটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। আর একটি হেড থেকে ও দুটি বক্সের ভেতর থেকে। এর পরে সবচেয়ে বেশি চারটি গোল করেছেন লুকাকু যার তিনটি বক্সের ভেতর থেকে আর একটি হেডে।
ফরাসী তারকা গ্রিজম্যানের তিন গোলের মধ্যে দুটি পেনাল্টি আর একটি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে।
এমবাপ্পের তিনটি গোলই এসেছে বক্সের ভেতর থেকে।
এছাড়া দুটি করে গোল আছে ক্রোয়েশিয়া মদরিচ আর বেলজিয়ামের হ্যাজার্ডের ।
মজার বিষয় হলো হ্যারি কেইন ছটি গোল করতে শট মেরেছেন দশটি।
আগের গোল্ডেন বুট জয়ী কারা ?
২০১০ এর বিশ্বকাপে প্রথম গোল্ডেন বুট দেয়া শুরু হয়।
এর আগে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেয়া হতো গোল্ডেন শু , আর এর আগে আনুষ্ঠানিক পদক না দিলেও দেয়া হতো সর্বোচ্চ গোলদাতার স্বীকৃতি।
এবার কেইন ইতোমধ্যেই ছয় গোল দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার রদ্রিগেজ ও ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়ার সুকার ছয়টি করে গোল দিতে সর্বোচ্চ গোলদাতার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
তবে ত২০০২ সালে সর্বোচ্চ আট গোল
করে গোল্ডেন জুতো পেয়েছিলেন ব্রাজিলের রোলদো।
আর ২০০৬ ও ২০১০ সালে পাঁচটি করে গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন যথানা
ক্রমে জার্মানির ক্লোসার ও মুলার।
গোল্ডেন বুটের গুরুত্ব কতটা ?
সংক্ষেপে বলতে গেলে নিজের ক্যারিয়ার বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে ভালো জায়গা নেয়া এসবের জন্য গোল্ডেন বুটের গুরুত্ব আছে।
যেমন গ্যারি লিনেকার।
ছিয়াশির বিশ্বকাপের পর বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় লিনেকারের।
হাঁটুর সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে ২০০২ এর বিশ্বকাপে আট গোল করেছিলেন রোনালদো। ওই সময়ের বিশ্বের সেরা তারকা মানা হতো তাকে।
বিশ্বকাপের পরই ইন্টার মিলান ছেড়ে রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন আর পরের বারই পেয়ে যান ব্যালন ডি অ’র।
সূত্র, বিবিসি